From my diary
17/4/12
দেখতে
দেখতে সাত বছর চলে
গেলো। অথবা
অনেক লম্বা সময় পাড়ি
দেবার পর মনে হলো,
সাত বছর পেরিয়েছে।
ঘর ছাড়ার, বাড়ি ছাড়ার। মানে,
জীবনকে পেছনে ফেলে আসার। এখনকার
দাড়িয়ে থাকা বিন্দু থেকে
দেখলে সাত বছর আগের
সময়গুলোকে স্পষ্ট মনে পড়ে
না। ভালোমতোন
মনে করার চেষ্টা করে
দেখলেও নয়। অনেক
কাল আগে পড়ে বইয়ের
তাকে রেখে দেয়া কোন
সাদামাটা বইয়ের বিস্মৃতপ্রায় পাতায়
লেখা ছাপার হরফের মতো
মনে হয়। অক্ষরগুলো
সামনে দিয়ে চলে যায়,
কিন্তু স্পষ্ট মনে করতে
পারি না কোন শব্দ
বা কোন বাক্য।
চরিত্রগুলো আবছা উঁকি দিয়ে
যায় কেবল। তবু
হাতড়ে দেখি, খুঁজতে থাকি
সেইসব হারিয়ে যাওয়া পৃষ্ঠা।
একটা সময় ছিলো, অনেক
গল্প ছিলো বলার।
নিজের ঘরের চাবি হারিয়ে
ফেলে ঘরে ঢুকতে না
পারার গল্প অথবা মন
খারাপ করা কোন এক
বিষন্ন সন্ধেতে শহরের কাছে পোষ-মানা ওই নদীটার
কাছে গিয়ে বসে থাকবার
গল্প কিংবা ছবি।
সবই। এখন
আর ইচ্ছে করে না
সেইসব । মৃত্যু
হয়েছে অনেক আগে সেই
তরুণের।
কিন্তু,
এখনো পড়ে আছে সে
সেই নদীর তীরে, যেখানে
নৌকো নেই, ভাসছে না
কোন ভেলা। ওপারটা
বড্ড দূরে। দেখা
যায় না। যেনো
বসে আছে, কেউ আসবে। অথবা,
কারও অপেক্ষাতেও নেই। আসলে
তাড়া নেই সম্ভবত।
কোথাও যাবার নেই।
সন্ধ্যেবেলা ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির
মাঝে ভেজা শীতল ঘাসে
পা দুটো মেলে দিয়ে
বসে থাকে সে।
দূরে, তৈরি হচ্ছে এরকম
উঁচু ভবনগুলোর উপরে একগাদা ক্রেন। যেন
জীবন্ত, একটা আরেকটার সাথে
কাটাকুটি খেলছে।
আসলে কোন গল্প নেই। শরীর
খারাপ কোন গল্প হতে
পারে না। শুয়ে
থেকে ছাদের দিকে চেয়ে
থাকা কোন গল্প হতে
পারে না। অলস
বসে থেকে যান্ত্রিক ও
লোকদেখানো ফেইসবুকে নাটকের সাজানো চরিত্রগুলোর
স্ট্যাটাস মেসেজের দিকে এক দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকা নিয়ে কোন
গল্প লেখা যায় না।
আমাকে
নিয়ে আমি কোন গল্প
লিখতে পারি না।
Comments
Post a Comment