Posts

ছেলেবেলা

ছেলেবেলা অনেক দিন কিছু লেখা হয়নি । আসলে গত কয়েকটা মাস দাঁতের ব্যথা বড্ড বেশি ছিল । কোন কিছুই সহজ ছিলা না । যাইহোক অনেক খড়কুটো পুড়িয়ে একটু সামাল দেওয়া গেল । আপাতত ব্যথাটা একটু কম । এর মধ্যেই অবশ্য কয়েক লাইনের একটা কবিতা লিখেছিলাম কিন্তু গল্প লেখা হয়নি। গত কয়েকদিন থেকে মনে হচ্ছে ছেলেবেলায় কত ঘটনা ই তো   ঘটে । সে গুলো নিয়েও অনেক মজার গল্প হয় । তাই এই প্রচেষ্টা । আবার লিখতে বসা । ছোট বেলার অনেক আনন্দের স্মৃতি বিজড়িত সেই দিনগুলোকে আমরা কেউই ভুলে যাই না ৷ ঘুরে ফিরে বারবারই আমাদের তা মনে পড়ে ৷ আমরা ফিরে যাই সোনালী সেই দিনগুলোতে ৷ ফিরে পেতে চাই হারিয়ে যাওয়া সেই দিনগুলিকে ৷ কিন্তু সে তো সম্ভব হয় না । দিন এগিয়ে চলে । সময় হাড়িয়ে যায় । অতীত কে কখনো ফিরে পাওয়া যায় না । কিন্তু স্মৃতিকে কল্পনায় নিয়ে আসা যায় । গল্পের মাধ্যমে প্রিয়জনদের সাথে উপভোগ করা যায়। এটাও এক ফিরে পাওয়া । হারিয়ে যাওয়া যায় আমাদের দুরন্ত শৈশবে এবং ছেলেবেলায় ৷ আমার বয়স তখন ৯ যদিও তখন ঘটা করে কারো জন্মদিন হত না । সঠিক বয়স জানার প্রয়োজন ও ছিল না । আমার ডেট অব বার্থ প্রথম প্রয়োজন হয় জয়েন্ট পরীক্ষার ফর্ম ভর্তি করার সময় । ঘটন

এক টুকরো গল্প

এক টুকরো গল্প   2/6/2016 আমার জীবনে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আছে । একদিন হঠাৎ মনে হল সেই অভিজ্ঞতা গুলোকেও গল্পের মত বলা যায় । সেই প্রচেষ্টাই করছি । দেখি হয় কিনা ।   ১৯৮২   সাল । মাসটা ঠিক মনে নাই তবে শীতকাল এটা মনে আছে কাড়ন বেশ ঠাণ্ডা ছিল । আমি তখন উত্তরপ্রদেশে একটা কটন - মিলে কাজ করি । মিলটা কানপুর শহর থেকে প্রায় দুশো কিলোমিটার দুরে ফাঁকা মাঠের মধ্যে । মিল থেকে এক অজ - গ্রাম ও ৫ কিলোমিটার দুরে । তবে মিলটা জি টি রোডের ধারে । মিল থেকে বাইরে এলে চারদিকে ধুধু মাঠ ছাড়া আর কিছু চোখে পরে না । জি টি রোডের ধারে কিছু চায়ের দোকান । সেখানে অল্প কিছু লোকজন । তাদের নিয়েই সময় কাটতো । সব থেকে কাছের শহর ফতেপুর সেও ছিল ১৫ কিলোমিটার দুরে । সবে বছর - দুয়েক হল চাকরি করছি । অভিজ্ঞতা কিছুই ছিলনা । মেশিন মেন্টেনেস্ বিভাগে কাজ করি । ঐ মিলের হেড - অফিস ছিল কানপুর । আমাদের বিভাগে আমিই সবথেকে জুনিয়র । একটা নিয়ম ছিল যে প্রত্যেক মাসে আমাদের একটা রিপোর্ট বানিয়ে