Posts

Showing posts from August, 2017

মাওবাদী

30/1/2012 মাওবাদী সে বলে আমি মাওবাদী ।   নাম তার সারেং মাহাতো নিবাস পলাশডাঙ্গা আমি বলি অসামাজিক .... দেশদ্রোহী ..... সে বলে অনুভব করেছ কি ক্ষুধা ? ক্ষুধার জ্বালা অনুভব করেছ কি ? আমি বলি কি তোমার দাবি সে বলে দু ' বেলা দু ' মুঠো ভাত । নেই আর কোনও দাবি পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর - ভাত চাই - ঠান্ডা বা গরম , রেশনের লাল চাল হ ' লে কোনো ক্ষতি নেই । আমি বলি কাজ করো ..... পরিশ্রম করো ..... ভাতের অভাব হবে না । সে বলে তুমি অনেক দূরের মানুষ বুঝবেনা আমার ভাষা আমি বলি কেন বুঝবোনা আমি তো মানুষ । সে বলে কাজ দাও যেথায় দু ' বেলা দু ' মুঠো ভাত মেলে ছেড়ে দেবো সব দাবি ! সে বলে যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবি , জেনে রাখ জ্বালিয়ে দেব সমস্ত পৃথিবী ক্ষুধার্তের নাই আইন - কানুন - সে বলে ভাত দে হারামজাদা , তা না হলে মানচিত্র খাবো বুঝবি তখন । সে বলে আমি মাওবাদী .....

আমার গ্রাম

 আমার গ্রাম আমার গ্রাম শেষে সাঁওতালি পাড়া । কদমফুলের গন্ধ পদ্ম - পুকুর দিগন্ত জোড়া আশ্বিনর সবুজ শিশর ভেজা ধানের ক্ষেত । আষাঢ় সন্ধ্যার তুমুল বরষা শেষ বৈশাখের কালবৈশাখী । ঘনকাল মেঘ ঘুর্নিহাওয়া আর জলোচ্ছ্বাস । জ্যৈষ্ঠর প্রখর রৌদ্র আধময়লা কাপড়ে গ্রামের মানুষ আমার নাম ধরে ডাকে । আমি ভাসিয়ে দিই চোখ কুয়াশা ভরা স্নিগ্ধ সুন্দর ভোরের আকাশে । আমি হাড়িয়ে যায় নিঝুম রাতে মেঠো পথে গরুর গাড়ির ছন্দে । অনেক তারার ভিড়ে পৃথিবীর পানে চেয়ে । আমার একমাত্র বন্ধু কে তার জন্মদিনে ৬ই জানুয়ারি

ASHA

9/11/11 আশা ভেসে চলেছি এক জাহাজের ডেকে এক পেয়ালা ফেনি হাতে । দীর্ঘদিন রোগে ভুগে জ্যোতি হীন নিভুনিভু চোখে । দেওয়া নেওয়ার হিসাব চারিদিকে অর্থশাস্ত্র একমাত্র চর্চার বিষয় । অজানা ভবিষ্যৎ বেচেঁথাকার প্রচেষ্টা । দাপিয়ে বৃষ্টি হোক কালবৈশাখী ভেঙ্গে দিক বাধন । শেষ হোক উৎকণ্ঠা ভরা জীবন তৈরি হোক আগামী প্রজন্মের সুন্দর পৃথিবী । মানুষ হোক আনন্দের বাহক । মানুষ হক মঙ্গলের ধারক সুন্দর পৃথিবী হোক আরও সুন্দর ।

From my diary

27/2/2012 বাঙ্গালী ভদ্রতা । পরবাসে এই বাঙ্গালী ভদ্রতা দেখে আনন্দ পেলাম । আমি আর কাজল ( আমার স্ত্রী ) কোথাও এক গানের জলসাতে   দাঁড়িয়েছিলাম । বসার উপায় ছিলনা কারণ আমরা অনেক দেড়িতে পৌচেছিলম । একদম শেষে দাঁড়িয়ে গান শুনচ্ছিলাম । খেয়াল করিনি আমাদের সামনে দুই তরুণ বাঙ্গালী বসেছিল । তারাও গান শুনছিল । তাদের একজন সাথে সাথেই উঠে দাঁড়িয়ে কাজল কে তার আসনটা ছেড়ে দিল । আমাকে এই ভদ্রতা বোধ অবাক করেছিল । আমি বুঝলাম অপরজন চাইছে তার আসনটা আমাকে দিতে যেহেতু আমি বয়সে বড় । বার কয়েক বলল । আমি রাজি হয়নি কারণ আমার তেমন অসুবিধা ছিলনা । হঠাৎ সে উঠে দাঁড়িয়ে বলল " তুষার দা আমি এখুনি আসছি । আপনি ততোক্ষণ বসুন " । আমি কিছু পরে কাজল কে প্রশ্ন করলে সে বলল " সে তো ফেরার জন্য যায়নি " । দেশের থেকে ১০০০০কিমি দূরে এই পরবাসে বাঙ্গালী ভদ্রতা বোধ মনকে একটু দেশের ছোঁয়া দিল যার মূল্য আমার কাছে অনেকটা । এদের একজন আমার অচেনা অপরজন অনুপম ঘোষাল ।

From my diary

17/4/12 দেখতে দেখতে সাত বছর চলে গেলো । অথবা অনেক লম্বা সময় পাড়ি দেবার পর মনে হলো , সাত বছর পেরিয়েছে । ঘর ছাড়ার , বাড়ি ছাড়ার । মানে , জীবনকে পেছনে ফেলে আসার । এখনকার দাড়িয়ে থাকা বিন্দু থেকে দেখলে সাত বছর আগের সময়গুলোকে স্পষ্ট মনে পড়ে না । ভালোমতোন মনে করার চেষ্টা করে দেখলেও নয় । অনেক কাল আগে পড়ে বইয়ের তাকে রেখে দেয়া কোন সাদামাটা বইয়ের বিস্মৃতপ্রায় পাতায় লেখা ছাপার হরফের মতো মনে হয় । অক্ষরগুলো সামনে দিয়ে চলে যায় , কিন্তু স্পষ্ট মনে করতে পারি না কোন শব্দ বা কোন বাক্য । চরিত্রগুলো আবছা উঁকি দিয়ে যায় কেবল । তবু হাতড়ে দেখি , খুঁজতে থাকি সেইসব হারিয়ে যাওয়া পৃষ্ঠা । একটা সময় ছিলো , অনেক গল্প ছিলো বলার । নিজের ঘরের চাবি হারিয়ে ফেলে ঘরে ঢুকতে না পারার গল্প অথবা মন খারাপ করা কোন এক বিষন্ন সন্ধেতে শহরের কাছে পোষ - মানা ওই নদীটার কাছে গিয়ে বসে থাকবার গল্প কিংবা ছবি । সবই । এখন আর ইচ্ছে করে না সেইসব । মৃত্যু হয়েছে অনেক আগে সেই তরুণের । কিন্তু , এখ...